টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুনটমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই ভালো করে জানেন না। তাই তাদের উচিত হবে এই সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেওয়া। যার ফলে আপনি টমেটো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
টমেটো সহজলভ্য সবজি হওয়ায় আমরা খাবারের তরকারি বা সবজিতে এটি ব্যবহার করে থাকি। অথচ ক'জনই বা এই টমেটো এর পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জানি। তাই চলুন টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা সম্পর্কে জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্র : টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
- টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
- সকালে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
- টমেটো খাওয়ার অপকারিতা
- টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার অপকারিতা
- টমেটোর পুষ্টি গুণ
- টমেটো খাওয়ার নিয়ম
- হজম শক্তি বাড়াতে টমেটো
- লেখকের শেষ মন্তব্য
টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
টমেটো বাজারে অনেক স্বল্প দামে পাওয়া সম্ভব হয়। বাজারে অনেক টমেটো শীতকাল ছাড়া অন্য মৌসুম গুলোতেও পাওয়া যায়। টমেটো এর ব্যবহার রয়েছে খাবারের নানা ধরণের পদে। সালাদ তৈরি করবেন অথচ টমেটো দিবেন এমনটা কখনো হয় না। বরং সালাদে প্রথম সারির সবজি হিসেবে এটি কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। টমেটো দামে কম হওয়ার কারণে এর ব্যবহারও আমরা সব জায়গায় করে থাকি। টমেটো তে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ। এই টমেটে খাওয়ার ফলে আমরা যেমন অনেক উপকার পেয়ে থাকি ঠিক তেমনি এর অনেক অপকার বা ক্ষতির দিকও রয়েছে। কেননা যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খেয়ে থাকেন বা মাত্রারিক্ত ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
টমেটো হলো একটি অম্ল জাতীয় সবজি। এর পি এইচ মান হয়ে থাকে ৪.০ থেকে ৪.৫ এর মধ্যে। যার ফলে এটি হয়ে থাকে মৃদু অম্লীয়। সে জন্যে যদি অতিরিক্ত বা বেশী পরিমাণে টমেটো খাওয়া হয় তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে অ্যাসিড রিফ্লাক্স।আমাদের সংবেদনশীল পাকস্থলী বা যাদের এসিড রিফ্লাক্স এর মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের উচিত হবে এই টমেটো খাবার পরিহার করা। কেননা তা হলে টমেটো তে থাকা প্রাকৃতিক অম্লতা তাদের পেঁটে অস্বস্তি কিংবা জ্বালা তৈরি করতে পারে। এর যে অম্লীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার কারনে গ্যাস্টিক এর মতো সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর সে জন্যেই বদ হজম বা এই ধরণের সমস্যা হলে টমেটো খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত। তবে দেখা যায় যে, যদি টমেটো এর খোসা ও বীজ ফলে রান্না করা হলে অ্যাসিডিটি সমস্যা কিছুটা কম হয়।
আমাদের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে, টমেটো খেলে কিডনি তে পাথর হয়ে থাকে। তবে এখানে কিছু বিভ্রান্তি আমাদের মধ্যে রয়েছে। যেমন আমরা মনে করি যেই টমেটো খাবে তার কিডনি তে পাথর হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে ব্যাপারটি আসলে তেমন নয়। সবার ক্ষেত্রে কিডনি তে পাথর হয় না, টমেটো খেলে। তবে আপনি যদি লক্ষ্য করেন আপনার কিডনি তে পাথর হয় টমেটো খাওয়ার ফলে। তাহলে আপনার উচিত হবে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ টমেটো তে অক্সালেট নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যার কারণে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কিডনি তে পাথর হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই আপনার যদি এমন কোনো ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে আপনার টমেটো খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত।
আমাদের ত্বক এর জন্যে টমেটো অনেক উপকারী। এটি আমাদের ত্বক কে সতেজ করে রাখে। তাই অনেক সময় দেখবেন, যারা সৌন্দর্য বা রূপ চর্চা করে থাকে তারা এই টমেটোর ব্যবহার করে থাকে তখন। কিন্তু এই টমেটোই আবার ত্বকের অ্যালার্জি এর কারণ হয়ে থাকে৷ কারণ টমেটো অ্যালার্জিক ক্রিয়ায় সাড়া প্রদান করে থাকে। এতে হিস্টামিন নামক এক ধরণের উপাদান থাকে, যার জন্যে মূলত এমন হয়ে থাকে। এর ফলে শুধু আপনার চুলকানিই নয়, এর সাথে গাঁটে ব্যাথা, ফোলা ভাব এমন কি অন্যাফিল্যাক্সিসও দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি টমেটো খাওয়ার ফলে এলার্জি দেখা দেয়, তবে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
টমেটো কিছু যৌগ থাকে, যা কিছু ঔষধের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে। তাই আপনি যদি কোনো ধরণের ঔষধ সেবন করে থাকেন, তবে টমেটো খাওয়া যাবে কি না সে সম্পর্কেও একটু জেনে নিবেন। বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা বা ওয়ারাফিন এর মতো রক্ত পাতলা করা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত ঔষধ গুলোর সাথে এই টমেটো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে। টমেটো তে উপস্থিত থাকা ভিটামিন কে ঐ ঔষধ গুলো কে প্রভাবিত করে থাকে। সে জন্যই আপনি রক্ত পাতলা করার ঔষধ সেবন করে থাকেন, তবে টমেটো খাওয়ার আগে চিকিৎসা এর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিন।
টমেটো তে যে লাইকোপিন রয়েছে হয়তো অনেকেই জানেন। এটি আমাদের দেহে অনেক উপকার করে থাকে। এটি প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয় কোষে ক্যানসারের ঝুঁকি রোধ করে আমাদের উপকার করে থাকে। এটি ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ৩১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করে থাকে।
আরো পড়ুন : গর্ভবতী মায়ের ফল খাওয়ার তালিকা
কিন্তু যদি এটি আপনার দেহে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রবেশ করে, তাহলে এটিই আপনার জন্যে কাল হবে৷ কারণ অতিরিক্ত লাইকোপিন এর প্রভাবে হতে পারে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামক এক ধরণের সমস্যা। এর ফলে আমাদের দেহ ত্বক এর রং বদলাতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাইকোপিন দৈনিক ৭৫ মিলি গ্রাম থেকে বেশী গ্রহণ করা উচিত নয়। এর ফলে লাইকোপিনোডার্মিয়া হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত টমেটো খাওয়ার ফলে গিঁতে বাত ব্যাথা দেখা দিতে পারে। এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় অস্থি সন্ধি গুলো কেও ফুলে যেতে৷ এর কারণ হলো টমেটো তে সোলানিন নামক এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি কম পরিমাণে বা পরিমাণ মতো যদি আমাদের শরীরে থাকে তবে এটি ভালো হয়। তবে যদি বেশী পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত পরিমাণ যদি টমেটো খাওয়া হয় তাহলে এই যৌগের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে গিঁটে ব্যাথা সৃষ্টি হয়।
টমেটো আমাদের হজমের জন্যে বেশ উপকারী। যার ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যে বেশ উপকার বয়ে আনে। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাওয়া হয় তবে দেখা যায় ডায়রিয়া হয়ে গিয়েছে। টমেটো তে সালমোনেলা নামক এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই ব্যাকটেরিয়া ডায়রিয়া এর জন্যে দায়ী। তাই দেখা যায় যারা কম পরিমাণে টমেটো খায় বা টমেটো সহ্য করতে পারে না তাদের এই ধরণের সমস্যা কম দেখা যায়।
সকালে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা সম্পর্কে আমরা সকল কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছি। অন্যান্য পুষ্টিকর সবজির মতোই এই টমেটোতেও রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ। এতে রয়েছে ভরপুর পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট ও পটাশিয়াম। তা ছাড়া এখান থেকে আরো পাওয়া যায় নায়াসিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও কপার। তা ছাড়া টমেটো তে আরো উপস্থিত রয়েছে ফাইবার ও পানি। এই টমেটো খাওয়ার ফলে দেখা যায় উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন যদি সকালে খালি একটি বা দুইটি করে টমেটো খাওয়া হয় তাহলে উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় সর্দি- কাশি প্রতিরোধ করতেও ভুমিকা পালন করে থাকে এই টমেটো। আপনি যদি সর্দি বা কাশি তে ভূগে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে দুই - একটা টমেটো নিয়ে সে গুলো টুকরা করে নেওয়া।
আরো পড়ুন : কমলার খোসার উপকারিতা জানুন
তারপর সে গুলো তে অল্প পরিমাণ চিনি বা লবণ ব্যবহার করে স্যুপ তৈরি করে নেওয়া। এই স্যুপ খেলে পরে সর্দি কাশিতে অনেক উপকার পেতে পারেন। আবার যারা রক্ত স্বল্পতায় ভূগছেন বিশেষ করে নারীরা তাদের উচিত প্রতিদিন একটা বা দুইটা করে টমেটো খাবার তালিকায় রাখা।
টমেটো খাওয়ার অপকারিতা
আসলে কোনো কিছুই অতি মাত্রায় খাওয়া ভালো না। সে টমেটো হোক কিংবা অন্য যাই কিছু হোক। নিয়মিত যদি পরিমাণ মত না খাওয়া হয়, তাহলে স্বাস্থ্য খারাপের কারন হতেই পারে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ টমেটো খেয়ে থাকেন, আপনার শরীরের যে পরিমাণ প্রয়েজন তার থেকেও বেশী তাহলে তা আপনার জন্যে অপকার বয়ে নিয়ে আসবে। অনেক সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি সমস্যা, অ্যালার্জি সমস্যা, জয়েন্টে ব্যাথা, ত্বকের বিবর্ণতা ইত্যাদি নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। টমেটো বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি হওয়ার কারণে এর অনেক উপকার রয়েছে। কারণ এতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যে গুলো আমাদের শরীরে জন্যে অনেক উপকার করে থাকে। টমেটো খেলে দেখা যায় হার্ট ভালো থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই টমেটো খাওয়া হয়। কারণ টমেটো তে থাকা রাসায়নিক উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে থাকে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভুমিকা পালন করে৷
টমেটো তে কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে গুলো হলো ক্যান্সার বিরোধী। যার নিয়মিত ও পরিমাণ মতো টমেটো খেলে আপনাকে তা ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। তাই আপনি চাইলে টমেটো এর সালাদ বা জুস তৈরি করে খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিংবা ইমিউনো সিস্টেম কে শক্তিশালী করে থাকে এই টমেটো। শরীরে যদি বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় ভূগে থাকেন তবে আপনার জন্যে উপকারী খাবার হতে পারে এই টমেটো। কারণ এটি হলো ভিটামি সি এর অন্যতম উৎস।
গর্ভবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে থাকে ভিটামিন এ ও সি, যা এই গুলোর অভাব পূরণ করে দেয়। এতে ক্যালরির পরিমাণ থাকে। যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের ক্লান্ত না হতে পারে। এতে যে পানি থাকে তা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এতে থাকে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে থাকা লাইকোপিন নামক অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ফ্রী র্যাডিকেল সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন বি রোদে পোড়া প্রতিরোধ করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় যদি বেশী পরিমাণে বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ টমেটো খাওয়া হয় তবে তা স্বাস্থ্য খারাপের কারণ হতে পারে। তবে নিয়ম মেনে চাহিদা অনুযায়ী খাওয়া হয় তাহলে উপকারিতা পাওয়া যায়। টমেটো অ্যাসিডিক হওয়ার কারণে এটি খেলে অ্যাসিডিক সমস্যা দেখা যায়। বদ হজম হওয়া, পেটে গ্যাস হওয়া কিংবা এই ধরনের আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলা ও বাচ্চার শরীরে রং এর পরিবর্তন হতে পারে। তাই অনিয়মিত ও অপরিমাণ মতো টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টমেটোর পুষ্টি গুণ
টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা জেনেছেন। টমেটো অনেক ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬ এর মতো পুষ্টি গুণ।তা ছাড়া এতে লাইকোপিন নামক পুষ্টি উপাদান এর উপস্থিতিও পাওয়া যায়। মিনারেল হিসেবে এতে উপস্থিত রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ৯৪ শতাংশ পানির উপস্থিতিও এতে পাওয়া যায়। তা ছাড়া এতে আঁশে পরিপূর্ণ, যা হজম শক্তি উন্নত করে থাকে।
টমেটো খাওয়ার নিয়ম
টমেটো খাওয়ার জন্যে আলাদা করে কোনো নিয়ম মানার প্রয়োজন নেই। আপনার যদি গাছ থাকে তাহলে সেখান থেকে টমেটো তুলে নিয়ে আপনি তা সালাদ হিসেবে বা তরকারিতে ব্যবহার করে খেতে পারেন।
আরো পড়ুন : ফলের স্বাস্থ্য গুণ সম্পর্কে জানুন
দিনে অবশ্যই একটি বা দুইটি এর বেশী টমেটো খাওয়ার প্রয়োজন নেই। টমেটো খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিবেন। এটি হলো একটি পুষ্টকর একটি সবজি। তাই নিজের শরীরে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে এটি খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।
হজম শক্তি বাড়াতে টমেটো
টমেটো তে ফাইবার বা তন্তু উপস্থিত থাকার কারনে এটি হজম শক্তি কে বৃদ্ধি করে থাকে। যার ফলে এটি হজমের সমস্যা সমাধান করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও সমাধান করে থাকে। তাই খাবারে প্রতিদিন টমেটো কে সালাদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে অনেক উপকার পাবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হয়? তা সম্পর্কে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে সকল কিছু বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে আপনি জানাতে পারেন। আপনার যদি কোনো অসুখ থেকে থাকে তাহলে টমেটো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url