চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি
চুল পড়া বন্ধ করার তেল সম্পর্কে জানুনচুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই যারা এই বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত তাদের জন্যে আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলছে। আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
চুল পড়া এখন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। চুল হলো মানুষের সবচেয়ে সুন্দর একটি জিনিস। তাই আপনি চিন্তা করে থাকেন যে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবেন তাহলে জেনে নিতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্র : চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
- চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
- প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- চুল ঘন করার উপায়
- কিশোর বয়সে চুল পড়ার কারণ
- চুলের খুসকি কমানোর উপায়
- চুল লম্বা করার উপায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি
চুল পড়া হচ্ছে এক বড় সমস্যা। একজন ছেলে বা মেয়ে যেই হোক না কেন তার সৌন্দর্যের ৯০ শতাংশেরও বেশী নির্ভর করে থাকে তার চুলের উপরে। তাই কারো যদি চুল চলে যেতে থাকে তাহলে সে মানসিক ভাবে অনেক ভেঙে পড়ে। কেন আমাদের সমাজে যারা টাকলা অর্থাৎ যাদের মাথায় চুল নেই তাদের কে নিয়ে অনেকেই মজা করে থাকে। তাই চুল সব গুলো পড়ে যাওয়ার আগেই ভালো একটা ব্যবস্থা গ্রহন করুন। যদি সঠিক ভাবে চুলের পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে চুল পড়া বন্ধ হতে পারে। অনেক সময়ে চুলের সঠিক যত্ন না নিলেও চুল পড়ে যেতে পারে। তাই চুলের যত্নে কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী একটি উপায় হতে পারে মেথীর ব্যবহার করা। এটি এক দিকে যেমন আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে ভুমিকা পালন করে থাকে ঠিক অপর দিকে আপনার চুল কে এটি লম্বা করতেও সাহায্য করবে।নতুন চুল গজানো ও চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে আপনি মেথীর ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে ভুমিকা পালন করে থাকে। তা ছাড়া এতে আরো উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন ও পটাশিয়াম। এই উপাদান গুলো চুলের অকাল পক্কতা রোধে সাহায্য করে থাকে। একই চুল কে করে তুলে অনেক ঘন ও মসৃণ।
চুলে মেথীর ব্যবহার করার জন্যে প্রথমে আপনি ২ চামচ মেথী পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে মেথী বেঁটে তার সাথে ২ থেকে ৩ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে নিন। এই মিশ্রণ কে মাথায় মেখে আধা ঘন্টা পর্যন্ত দিয়ে রাখুন। এরপরে শ্যাম্পু করে নিন। এর ফলে আপনার চুল সমস্যা বন্ধ হবে। এর সাথে নতুন চুল গজাতে এটি সাহায্য করবে। প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে এর ব্যবহার করলে আপনি উপকার পাবেন।
চুলের যত্নে নারিকেল দুধের ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেলের ব্যবহার তো সবাই করে থাকেন। তাই এর সাথে নারিকেল দুধও ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এটি আপনার চুল কে দ্রুত লম্বা করতে কাজ করবে। এতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নাই, তাই এটি নিশ্চিন্তে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল দুধ আপনার চুল ও স্ক্যাল্পে ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। এর ব্যবহার করার জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে একটি নারিকেল, শ্যাম্পু ও শাওয়ার ক্যাপের।
একটি নারিকেল নিয়ে তা কুড়িয়ে নিন। তারপর তা একটি সুতির কাপড়ে রেখে ভালো করে চেপে নারিকেলের দুধ বের করে নিন। এবার সে দুধটুকু হালকা গরম করে নিন। তারপর এই গরম দুধ মাথার ত্বক ও চুলে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে নিন। পরে একটি শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে নিন। এই ভাবে ঘন্টা খানেক রাখুন। পরে মানানসই শ্যাম্পু ব্যবহার করে তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে এক বার এটি ব্যবহার করলে চুল হবে মানান সই ও মজবুত। চুল পড়া বন্ধ হবে।
অনেক আগে থেকেই চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়ে আসছে। নিম পাতায় উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকে যা মাথার ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী। মাথার ত্বক যদি ভালো থাকে তাহলে চুল এম্নিই ভালো থাকবে। তাই যারা চুল পড়া সমস্যায় ভূগছেন তাদের জন্যে উপকারে আসতে পারে এই নিম পাতা। স্ক্যাল্পে অতিরিক্ত পরিমাণ তেল তৈরি বন্ধ হয়ে থাকে নিম পাতা ব্যবহার করার কারনে। একই সাথে দূর করে মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা।
তাই ১০ থেকে ১২ টি নিম পাতা বেটে রস বের করে মত নিন। একই সাথে পরিমাণ মতো নারিকেল নিন। নিমের রস ও নারিকেল তেল এক সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। এরপর আধা ঘন্টার মতো অপেক্ষা করুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন : চুল ঘন করার উপায় জেনে নিন
নিম পাতা একটি অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনি নারিকেল তেল ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল বা স্যামন্ড অয়েল। এটি নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করার ফলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। চুল অনেক বাজে একটি সমস্যা। চুল পড়ে গেলে আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই চুল মাথায় চুল ধরে রাখতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। অনেকেই মাথায় বিভিন্ন ধরণের তেল ব্যবহার করে থাকি। আজকে এমন কিছু তেল সম্পর্কে জানতে পারবেন যে গুলোর ব্যবহার আপনার চুলের যত্নে কাজে আসবে।
১. আমন্ড অয়েল
আপনার যদি চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা থেকে তাহলে আপনি আমন্ড তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি আপনার চুলের যত্নে অনেক কাজে আসবে। এই তেল ভিটামিন ই ও ডি এর অভাব পূরণ করে চুল পড়া কমে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
২. নারিকেল তেল
নারিকেল তেলের বিকল্পে চুলের যত্নে হতে পারে না। আপনার যে কোনো সমস্যায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই নারিকেল তেল। এতে থাকা অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও ফ্যাটি এসিড চুলের যত্নে অনেক কাজে আসে। প্রতিদিন যদি নিয়ম করে নারকেল মাথায় ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চুল পড়া বন্ধ হতে পারে।
৩. ক্যাস্টর অয়েল
প্রতিদিন যদি এই তেল স্ক্যাল্পে মালিশ করে থাকেন তাহলে তা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। চুল ঝরে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এই ক্যাস্টর অয়েল। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এটি চুলের গোড়া কে শক্ত করে থাকে। তাই চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টার অয়েল।
৪. রোজমেরী অয়েল
এটি রক্তনালী কে প্রসারিত করে থাকে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। স্ক্যাল্পে অক্সিজেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। চুল কে অনেক ঘন করে থাকে। তাই নারকেল তেলের সাথে ৫ থেকে ৬ ফোটা মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ভাবে রেখে দিয়ে তার পর শ্যাম্পুু করে নিতে পারেন।
৫. বার্গমট অয়েল
বার্গামট অয়েল অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সম্পন্ন ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যে বেশ কার্যকরী। স্ক্যাল্প কে ঠান্ডা রাখে, এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ফোঁড়া ও অতিরিক্ত ঘামের মতো সমস্যা গুলো হ্রাস করে থাকে। তাই নারকেল তেলের সাথে ৩ ফোটা ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। আপনি চাইলে চুলের যত্নে ভিটামিন এর ব্যবহারও করতে পারেন। কিছু ভিটামিন রয়েছে যে গুলোর অভাবে আপনার চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন চুল ঝরে পড়ে বা চুল গুলো চিকন হয়ে যেতে থাকে। তাই সেই ভিটামিন গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। আপনি নিজের যত্নে যে সকল ভিটামিন গুলো ব্যবহার করতে পারেন তা হলো ভিটামিন বি, ই, এ, ও সি এবং বায়োটিন ও ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন বি খুবই ভুমিকা পালন করে থাকে। আবার বায়োটিনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে চুলের যত্নে।
আরো পড়ুন : সুন্দর হওয়ার উপায় জেনে নিন
আপনি নিজের চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন বায়োটিন। বিভিন্ন খাবার যেমন ডিম, বাদাম, আমন্ড ও সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন তেল পাওয়া যায়। ভিটামিন ই, এ ও সি আপনার চুলের যত্নে অনেক উপকার করে থাকে।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যে গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার চুল পড়া ঠেকাতে পারেন। কিছু প্রাকৃতিক তেল রয়েছে সে গুলোও ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নিন কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া ঠেকাবেন।
- চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন পেঁযাজের রস। এর জন্যে ২ থেকে ৩ মাঝারি আকারে পেঁয়াজের টুকরা কেটে নিন। তারপর এখান থেকে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। মাথায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
- চুল পড়া কমাতে ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারী। এটি চুলের স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগায় ও খুশকি কমাতে সাহায্য করে। এলোভেরা জেল চুলের গোড়ায় ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে ফেলুন। ৪৫ মিনিট পর তা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
- ডিম ও দুধের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ডিম প্রোটিন ও মুধু ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে থাকে। তাই একটি ডিম ফাটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রাখার পর তা হালকা শ্যাম্পু করে নিন।
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। একজন পুরষের বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। চুল পড়ে গেলে এখন সমাজে একটু মাথা নিচু করে চলতে হয়।
আরো পড়ুন : আধুনিক যুগে বিয়ের বয়স কত হওয়া উচিত
কেননা বড় ও ছোট উভয়েই এই বিষয় নিয়ে অনেক মজা করে। তাই চুল পড়া ঠেকাতে অনেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকেন। চলুন কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- অনেক সমস্যা খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস পরিবর্তন হলে শরীরে প্রোটিন ঘাটতি দেখা দেয়। তাই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় চর্বি যুক্ত মাছ, মাংস, সয়াবিন তেল প্রোটিন রাখুন।
- নিয়মিত ভাবে চুলের গোড়া পরিষ্কার করে রাখুন। চুলের গোড়ায় ময়লা জমলে তাহলে চুল পড়ে যেতে পারে। অপরিষ্কার চুলে সংক্রমণ বেড়ে যায়।
- ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেন না। ভেজা চুলের গোড়া অনেক নরম থাকে। তাই চুল পড়ে যায়।
- শরীরে পানি শূ্ণ্যতা দেখা দিলে চুল পড়ে যায়। তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
- ধুমপান ও মদ্যপান করার কারনেও চুল পড়তে পারে। তাই এটা থেকে বিরত থাকুন।
- দৈনিক শরীর চর্চা করুন। অন্তত ৪০ মিনিট। তাহলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে ও স্ট্রেস কম হবে।
চুল ঘন করার উপায়
অনেকের মাথায় পাতলা চুল থাকে। তাই ঘন করার জন্যে অনেক কিছু করে থাকেন। আপনি যদি আপনার চুল ঘন করতে চান তাহলে কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে পারেন। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করে পাতলা চুল ঘন করতে পারেন।এর জন্যে অ্যালোভেরার পাতা থেকে জল বের করে নিবেন। তারপর তা ১০ থেকে ১৫ মিনিট মাথায় লাগিয়ে পরে ধুয়ে নিবেন। চুল ঘন করতে ব্যবহার করুন কাস্টর অয়েল। আবার গ্রিন টি ও আপনার চুল ঘন করতে ভুমিকা রাখে। এর জন্যে মাঝারি আকারের কাপে গরম পানি নিয়ে দুটি টি ব্যাগ নিন। তারপর ঠান্ডা হলে মাথায় দিন। পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে উপকারীতা পাবেন ৮ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করলেই।
কিশোর বয়সে চুল পড়ার কারণ
অনেকেই কিশোর বয়সে চুল পড়ার সমস্যায় ভূগে থাকেন। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন :
- হরমোনের পরিবর্তন
- ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- পুষ্টির অভাব হওয়া।
- বেশী স্টাইলিং করা।
- স্ট্রেসে থাকা।
চুলের খুসকি কমানোর উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছেন। অনেকের মাথায় অনেক খুসকি থেকে থাকে। তাই আপনার মাথায় যদি অনেক বেশী পরিমাণে খুসকি থেকে থাকে তাহলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে আপনার মাথার খুসকি পড়া রোধ পাবে। মাথার খুসকি সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন আপেল সাইডার ভিনেগার। এতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মাথায় রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এতেও রয়েছে অ্যান্টি- ফাঙ্গাল, অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি- ইনফ্ল্যামেন্টরি গুণ। তাই এই গুলো আপনার চুলে খুসকি রোধে সাহায্য করবে। তা ছাড়অ আপনি লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন।
চুল লম্বা করার উপায়
আপনি আপনার চুল লম্বার করার জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এখানে আপনি নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল সব সময় পরিষ্কার করে রাখুন। আপনার চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। এই প্যাক তৈরি করার জন্যে ২ চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল নারিকেল তেলের সাথে এবং ১ চামচ পেয়াজের রসের সাথে ৪ বা ৫ ফোঁটা ভিনেগার বা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর এটি আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে আপনার মাথা থেকে খুশকি কমবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে আপনি জানাতে পারেন। আপনার যদি চুল বেশী পরিমাণে পড়তে থাকে তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url