শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি

পোস্ট সূচিপত্র : শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি
- শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি
- প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা কি
- শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব
- শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে কাজে লাগে
- প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার মানের উন্নতি
- ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার নতুন ধারা
- শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষার সুবিধা
- মোবাইল অ্যাপস এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং শিক্ষায় তার ব্যবহার
- প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ শিক্ষার্থীর পঠন অভিজ্ঞতা
- শিক্ষার বৈশ্বিক প্রবাহে প্রযুক্তির প্রভাব
- ই-লার্নিং এবং তার বর্ধিত জনপ্রিয়তা
- প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা এবং ছাত্রদের সৃজনশীলতা
- ভবিষ্যতের শিক্ষায় প্রযুক্তির সম্ভাবনা
- পরিশেষে আমার মতামত
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি
প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা কি
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কিভাবে কাজে লাগে
প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার মানের উন্নতি
ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার নতুন ধারা
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি তা বুঝতে, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার নতুন ধারার ভূমিকা অপরিসীম। প্রযুক্তি শিক্ষাকে একটি নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছে, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ হয় সহজ এবং কার্যকরভাবে। আজকের দিনে, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মাধ্যমে পাঠদানটি যেমন সুবিধাজনক, তেমনি এটি শিক্ষার্থীদের শেখার গতি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করছে।
ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষে, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী শিক্ষণ উপকরণ ব্যবহার করতে পারে। ক্লাসরুমের সীমানা ভেঙে, তারা এখন বিভিন্ন স্থান থেকে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে সহজে কোন কিছু খুঁজে বের করতে পারে, যা শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে সহায়ক। ফলে, তারা শুধু কনসেপ্ট শেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সৃজনশীল ভাবনাও গড়ে তুলতে পারছে।
এছাড়া, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষের মাধ্যমে শিক্ষার ধারা পরিবর্তিত হচ্ছে, যেখানে বইয়ের বাইরে ভিডিও, অ্যানিমেশন এবং ইন্টারেক্টিভ টুলস ব্যবহার করে পাঠদান করা হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্য হয়ে উঠছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার উপকরণগুলি সবার জন্য সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য, ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সময়ে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
তবে, শিক্ষকদের জন্য এই নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। তবুও, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার মানসিকতার পরিবর্তন এনে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষার সুবিধা
.webp)
এছাড়া, অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যেকোনো কোর্স এবং শিক্ষককে অ্যাক্সেস করতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যও এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে। ইন্টারেক্টিভ টুলস যেমন, ভিডিও কনফারেন্সিং, চ্যাট রুম এবং আলোচনা ফোরাম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। তবে, অনলাইন শিক্ষার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেমন ইন্টারনেটের সমস্যাগুলি, কম্পিউটার ও প্রযুক্তিগত উপকরণের অভাব, এবং শিক্ষকদের জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠলে অনলাইন শিক্ষা আরও কার্যকরী হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনে শিক্ষার জন্য অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন উপলব্ধ। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তি এর আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কার্যকরী। শিক্ষার ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই অ্যাপসগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই পাঠ্যক্রম, টেস্ট, রিভিউ এবং শিক্ষণ উপকরণ অ্যাক্সেস করতে পারে।
আরও পড়ুন : বিসিএস ক্যাডার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করার ০৯ উপায়
মোবাইল অ্যাপস শিক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক কারণ এটি যেকোনো সময় এবং স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়। ছাত্ররা যখন বা যেখানে চাইবে তখন তারা অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন অ্যাপস যেমন, Duolingo, Khan Academy, Quizlet, এবং Google Classroom শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় এবং ইন্টারেক্টিভ করেছে।
এছাড়া, শিক্ষকরা এই অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সক্ষম হচ্ছেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু বই পড়া নয়, বরং বিভিন্ন গেম, কুইজ এবং অ্যানিমেশন দিয়ে শিক্ষার কনসেপ্ট ভালোভাবে বুঝে নিতে পারছে। এটি তাদের শেখার উপভোগ্যতা এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। তবে, শিক্ষার্থীদের ফোনের অপব্যবহার ও অন্যান্য বিভ্রান্তি থেকে শিক্ষা অব্যাহত রাখতে হলে, শিক্ষকরা সঠিক গাইডলাইন এবং ব্যবস্থাপনা প্রদান করতে হবে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং শিক্ষায় তার ব্যবহার
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) প্রযুক্তি আজকের শিক্ষায় একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি এর অন্যতম শক্তিশালী উদাহরণ হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি করে। VR প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মনের মতো যেকোনো পরিবেশে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট বিষয়ের গভীরে গিয়ে শেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলো শিখতে VR ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই যে কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা অনুশীলন করতে পারে। এটি শুধু তাত্ত্বিক নয়, বরং অভ্যন্তরীণ, বাস্তব অভিজ্ঞতাও প্রদান করে। এতে শিক্ষার প্রক্রিয়া আরো গভীর এবং জীবন্ত হয়ে ওঠে।
এছাড়া, VR প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনন্য পদ্ধতিতে শেখার সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে নয়, বরং নিজের চোখে দেখে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সৃজনশীলতার সুযোগ এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করছে। তবে, VR প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের জন্য শিক্ষার পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের বিশাল খরচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ শিক্ষার্থীর পঠন অভিজ্ঞতা
প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের পঠন অভিজ্ঞতা এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীরা তাদের পঠন অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে। ই-বুক, অডিও বই, ভিডিও লেকচার, এবং অনলাইন রিসোর্সের মাধ্যমে তারা নিজেদের শেখার দক্ষতা বাড়াতে পারছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরও বিশদ তথ্য খুঁজে বের করতে পারছে। বিভিন্ন ইন্টারেক্টিভ টুলস, যেমন, গেম, কুইজ এবং অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে তারা শেখার প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য করে তুলছে। এর ফলে তারা আরও মনোযোগী এবং সক্রিয়ভাবে শিখতে পারছে।
শিক্ষকদের জন্যও প্রযুক্তি ব্যবহার তাদের পঠন কৌশল উন্নত করতে সহায়তা করছে। তারা এখন টেকসই এবং ইন্টারেক্টিভ শিক্ষণ কৌশল ব্যবহার করে ছাত্রদের শেখাতে পারছেন। এটি শিক্ষার্থীদের শিখন অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে, যেখানে তারা শুধু পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে নয়, বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাকে জীবন্ত এবং প্রয়োগযোগ্য অনুভব করছে।তবে, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ, যা শিক্ষার্থীদের পঠন অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করতে সহায়তা করবে।
শিক্ষার বৈশ্বিক প্রবাহে প্রযুক্তির প্রভাব
আজকের বিশ্বে প্রযুক্তি ছাড়া শিক্ষার কথা ভাবা প্রায় অসম্ভব। শিক্ষার বৈশ্বিক প্রবাহে প্রযুক্তির প্রভাব এখন অপরিসীম। এক সময় যে শিক্ষা শুধুমাত্র এক কক্ষে বসে বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে এখন ছাত্ররা বিশ্বের যেকোনো কোর্স ও শিক্ষকের কাছে পৌঁছাতে পারছে, এবং এতে শিক্ষার গতি এবং মান বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থা তার কাঠামো বদলে দিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স, ওয়েবিনার, এবং অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিশ্বের যেকোনো স্থানে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন। এতে করে সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে গেছে এবং শেখার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে এমন ছাত্ররা যারা আগে হয়তো ভৌগলিক অবস্থান বা আর্থিক কারণে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমও প্রযুক্তির সংযোজনের ফলে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। অনলাইন কোর্স, ই-টিউটোরিয়ালস এবং ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা আরও আন্তঃসংযোগিতভাবে করতে পারছে। এটি ছাত্রদের কাছে শেখার একটি নতুন উপায় সৃষ্টি করেছে, যেখানে প্রথাগত শিখন পদ্ধতি আর সীমাবদ্ধ নয়।
তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কিছু চ্যালেঞ্জও এসেছে, যেমন ইন্টারনেটের অভাব, ডিজিটাল বিভাজন, এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অপ্রতুলতা। এসব সমস্যার সমাধান করলে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার বৈশ্বিক প্রবাহ আরও সমৃদ্ধ হবে এবং অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের স্বপ্নের শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
ই-লার্নিং এবং তার বর্ধিত জনপ্রিয়তা
ই-লার্নিং বা অনলাইন শিক্ষা এখন একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করার কথা, সেখানে ই-লার্নিং শিক্ষা গ্রহণের নতুন উপায় হিসাবে সামনে এসেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের সুবিধা, দক্ষতা এবং সময়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করেছে।
ই-লার্নিং পদ্ধতিতে, শিক্ষার্থীরা এখন যেখানে খুশি সেখানে বসে পড়াশোনা করতে পারে। ক্লাসের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বা সময়ের দরকার হয় না, এবং ছাত্ররা যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় তাদের কোর্স সামগ্রীতে প্রবেশ করতে পারে। এই সুবিধাটি শিক্ষার্থীদের জীবনের আরও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিশেষত যারা পেশাগত ব্যস্ততার কারণে স্কুল বা কলেজে যেতে পারেন না।
এছাড়া, ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনা করেন না, বরং তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। অডিও, ভিডিও, কুইজ, ফোরাম, এবং অন্যান্য ইন্টারেক্টিভ টুলস শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকে আরো কার্যকর করে তোলে। এটি শেখার অভিজ্ঞতাকে শুধু তথ্যভিত্তিক না রেখে, ব্যবহারিক এবং উন্নত করেও উপস্থাপন করে।
তবে, ই-লার্নিংয়ের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অনলাইনে শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত উৎসের প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেটের গতি, কম্পিউটারের ক্ষমতা, এবং প্ল্যাটফর্মের সহজতা এই প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা পালন করে। যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী এখনও এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত, সেহেতু বৈষম্য দূর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা এবং ছাত্রদের সৃজনশীলতা
প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা আজকের সময়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়ানোর এক শক্তিশালী উপায় হয়ে উঠেছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন বিভিন্ন সফটওয়্যার, ডিজিটাল টুলস, এবং মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স, শিক্ষার্থীদের চিন্তা, পরিকল্পনা এবং সমাধান পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। তারা শুধু তথ্য শিখছে না, বরং তাদের চিন্তা এবং কল্পনাশক্তি জাগ্রত হয়ে উঠছে।
প্রযুক্তির সাহায্যে, শিক্ষার্থীরা গেম ডিজাইন, গ্রাফিক্স, ভিডিও নির্মাণ, এবং অন্যান্য সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছে। এটি তাদের মননশীলতা এবং কল্পনা শক্তিকে প্রশিক্ষিত করে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা একসাথে বিভিন্ন ডিজাইন, আর্টওয়ার্ক এবং থিম তৈরি করতে পারে, যা তাদের সৃজনশীলতার একটি বড় প্রদর্শন।
অধিকন্তু, প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতামূলক সৃজনশীল প্রকল্পগুলোতে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের কাজের মান উন্নয়ন করতে সহায়তা করছে। বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেমন ব্লগিং, পডকাস্টিং, এবং ডিজিটাল আর্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চিন্তা এবং সৃজনশীল ধারণা প্রকাশ করতে পারছে। তবে, এই প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষকদেরও সৃজনশীল হতে হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। যদি তারা সঠিকভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারে, তবে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার উন্নতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ভবিষ্যতের শিক্ষায় প্রযুক্তির সম্ভাবনা
.webp)
এছাড়া, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখতে পারবে। তারা এখন নিজের চোখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখতে পারবে, যা তাদের শিখতে আরও সহায়ক হবে। এই প্রযুক্তিগুলির সাহায্যে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা সহজেই শিক্ষা প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতে, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মাঝে সহযোগিতা বাড়বে। তবে, এটি সম্ভব করতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ দরকার হবে।
পরিশেষে আমার মতামত
প্রযুক্তির প্রভাব শিক্ষায় আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের উন্নতি এবং পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব কি সে প্রশ্নের উত্তর প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং এর প্রভাবের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে।
যদিও প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষায় নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে, তবুও এর সুফল অনেক বেশি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখন সীমাহীন শিক্ষা উপকরণের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। শিক্ষকদের জন্যও এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যেখানে তারা আরও সৃজনশীলভাবে এবং কার্যকরভাবে শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রদের উন্নতি ঘটাতে পারেন। আমার মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। এর সঠিক ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হলে এটি শিক্ষার ভবিষ্যতকে আরও সমৃদ্ধ করবে। [33879]
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url