ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল
ডায়াবেটিস এর লক্ষণ সমূহ জানুনডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই এই বিষয়ে আপনার সকল কিছু জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আমাদের দেশে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী, তাই ব্যাপারটি নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
ডায়াবেটিসে অনেকেই ভূগে থাকেন। তাই তাদের ভালো ভাবে জানা উচিত কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্র : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল
- কিভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়
- ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কারণ কি
- টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর প্রতিকারের উপায়
- দুধ খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
- কি কি ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
- কোন সবজি খেলে ডায়াবেটিস কমে
- ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল হয়
- কমলার রস খেলে কি ডায়াবেটিস কমে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল
বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ৯৭ শতাংশই হয়ে থাকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। আপনাকে প্রতি বেলায় খাবার খেতে হবে নিয়ম করে। কতটুকু খাচ্ছেন সে বিষয়টাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ডায়াবেটিস রোগী কে সব সময় ভাত না খেয়ে রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আঁশ যুক্ত গোটা শস্য খাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি আটার রুটি বা ঢেকি ছাঁটা চালের ভাত খেলে ভালো হয়। গোল আলু যত সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি আলু খেতে চান তাহলে তা ভাত বা রুটির পরিবর্তে খেতে পারেন। শাক সবজি খাওয়া রেখে আলু খেতে যাইয়েন না।
শাকসবজি ও ফলমূল কিছু পরিমাণে খান। আর অতিরিক্ত পরিমাণ লবন ও চর্বি জাতীয় খাদ্য গুলো খাওয়া থেকে নিজে কে বিরত রাখুন। কোমল পানীয় ও ফাস্ট ফুড খাওয়া ত্যাগ করুন। বিশূদ্ধ আর্সেনিক মুক্ত পানি পান করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো খাওয়া থেকে নিজে কে বিরত রাখুন।শরীর কে কার্যক্ষম করে রাখতে হাঁটতে পারেন। কোনো কাজ একটানা অধিক সময় ধরে করবেন না এক জায়গাতেই বসে। যদি কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে দাঁড়ান। একটু হাঁটা চলা করুন। টিভি দেখার সাথে সাথে চিপস খাবেন না। বেশী ক্ষুধা যদি থাকে তাহলে শসা খান। আর যদি পারেন তাহলে অনলাইন গেম খেলা কমিয়ে দিন।
যদি ধুমপান করে থাকেন তাহলে তা বর্জন করুন। রক্তে গ্লুকোজ, লিপিড ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ডায়াবেটিস নিয়মিত ভাবে পরীক্ষা করুন। ঔষুধ গ্রহণ করা, ব্যায়াম করা, খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি সার্বিক কাজ গুলো মেনে চলুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে সুষম খাবার বাধ্যতামূলক৷ সব সময় শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করুন। পানি পান করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে তা দেহের পানি শূণ্যতা কমিয়ে থাকে এবং কিডনি ও বৃক্ক কে সক্রিয় করে রাখে। এর সাথে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই দিনে আট কাপ পানি পান করুন এটি দেহের প্রয়োজন মেটাতে ও সক্রিয় রাখতে ভুমিকা পালন করে।
মানসিক চাপ রক্তের শর্করার মাত্রা কে প্রভাবিত করে থাকে। যা হরমোনের প্রতিক্রিয়া কে বাড়িয়ে গ্লুকোজের উৎপাদন বাড়িয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : দ্রুত ওজন কমাতে নিম পাতার ব্যবহার জানুন
তাই আপনি যদি চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল মেনে চলেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তা ছাড়া বিশ্রাম ও কর্ম জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার যেমন গোটা শস্য, ডাল, সবজি ও শ্বেতসার এমন খাবার গুলো গ্রহণ করতে পারেন। এই গুলো আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
কিভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অনেকেই রয়েছেন যারা রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক কিছু করে থাকেন। চিনি বা কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা তিরিক্ত ব্যবহার আমাদের রক্ত কে ঘন করে তুলতে পারে। এই সমস্যা ধীরে ধীরে হার্ট, কিডনি বা স্নায়ুবিক সমস্যাসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আর সে জন্যই রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ এর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনস্যুলিন হরমোন তৈরি করতে না পারে তখন রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সুগারেরে মাত্রা বেড়ে গেলেই হয় ডায়াবেটিস। তাই ডায়াবেটিস এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে আপনি যা করতে পারেন তা নিম্নে দেওয়া হলো :
গ্রিন টি অগ্ন্যাশয় এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে ইনস্যুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। আর তাই রক্তে যদি সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। আবার আপনি করল্লা দিয়েও সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এর জন্যে ভেতরের বীজ গুলো ফেলে করলা ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস তৈরি করে নিন। তাই নিয়মিত করলা জুস খাওয়ার ফলে তা আপনার রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি সুগার এর মাত্রা কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন ২০ মিলিমিটার করে আমলকি জুস খেতে পারেন। এই জুস ডায়াবেটিস এর রোগীদের জন্যে ভালো। আমলকির গুড়া যদি দুই বেলা করে খেয়ে থাকেন তাহলে তা সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে নিমপাতা। তাই প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিম পাতা খালি পেটে খেতে পারেন। এটি ইনস্যুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। আর তাই রক্তে চিনির লেবেল কমানোর জন্যে আপনি খেতে পারেন নিম পাতা। আবার রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে খেতে পারেন আমপাতা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, প্যাকটিন ও ফাইবার, যার কারনে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে খেতে পারেন আম পাতার রস।
ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কারণ কি
রক্তে বিভিন্ন কারনে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আপনার শরীরে যদি পানি ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে শরীর আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিস এর সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে আপনাকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পান করতে হবে। রক্তে সুগারের মাত্রা যদি বেশী হয় তাহলে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ঔষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই ঔষধ গুলো নিয়ম মেনে আপনাকে সব সময় খেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত ঔষধ না খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সুগারের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে অনেক ধরণের ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে সুগার বেড়ে যেতে পারে। ক্ষতিকারক স্টেরয়েড যুক্ত ঔষধ গুলো সেবন করলে তা ব্লাড সুগার কে হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
আরো পড়ুন : হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা
তাই ঔষধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। আবার অনেকেই মানসিক চাপে ভূগে থাকেন। মানসিক স্ট্রেসে থাকলে হরমোন ক্ষরণ বিঘ্নিত হয়ে থাকে। তাই মানসিক চাপের কারনে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর প্রতিকারের উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে জেনেছেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে প্রথমেই আপনার উচিত রোগ নির্ণয় করার জন্যে পরীক্ষা করে নেওয়া। টাইপ- ২ ডায়াবেটিস রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে শনাক্ত করণ করা হয়ে থাকে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর কোনো নিরাময় নেই। তাই আপনাকে সুস্থ জীবন ধারা মেনে চলতো হবে। আপনি যদি টাইপ- ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে রাখতে চান তাহলে কিছু কাজ করে থাকেন। এটা প্রতিকারের জন্যে কত গুলো খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
আপনি টিনেজাত শাক - সবজি যেখানে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চিনিযুক্ত পানীয় গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে মিষ্টি জুস, এনার্জি ড্রিংকস ও কৃত্রিম মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রক্রিয়াজাত মাংস গুলো যেমন হট ডগ, ডেলি, সসেজ ও বেকন ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই গুলো তে সোডিয়াম থাকে ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। তাই খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। টিনেজাত বা প্যাকেটজাত ফল গুলো খাওয়া বিরত থাকুন।
প্রোটিন প্রক্রিয়াজাত, যাতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশী থাকে এই গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ট্রান্সফ্যাক্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্যাকেটজাত খাবার গুলো যেমন চিপস, বিস্কুট, মিহি ইত্যাদি খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশী পরিমাণে যদি অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকেন। এটি শর্করার মাত্রা কে পরিবর্তন করে ফেলে। অস্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
দুধ খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
সুষম খাদ্য হিসেবে আমরা দুধ কে চিনে থাকি। এতে সকল ধরনের পুষ্টি গুণই রয়েছে। সকলেই ডায়েট হিসেবে দুধ কে রাখতে পারেন। এখন প্রশ্ন আসে দুধ কি শর্করার মাত্রা বাড়ায় কি না। এটি ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করে থাকে কি না এমম প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। দুধ হলো একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। আর তাই দুধ খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে যেহুতো দুধে ফ্যাট ও প্রোটিন এক সাথেই রয়েছে তাই এটি তেমন ক্ষতিকর নয়। তাই আপনি চাইলে দুধ খেতে পারেন।
কি কি ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
আপনার যদি ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে খাবারের তালিকায় সচেতন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। ডায়াবেটিস হলে সাধারণত চিনি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে ফল যদি পরিমাণ মতো খাওয়া হয় তাহলে কোনো ধরণের ক্ষতি হবে না। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও ফাইবার সমৃদ্ধ ফল গুলো খাওয়া উপকারী। যে সব ফল গুলোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫ এর নিচে সে গুলো ডায়াবেটিস বান্ধব ফল হয়ে থাকে। আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পাশাপাশি গ্লাইসেমিক লোডও খেয়াল রাখার প্রয়োজন পড়ে। আর যে ফলের গ্লাইসেমিক লোড কম হয়ে থাকে সে ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে অনেক উপকার করে থাকে।
আমলকী, আমড়া, জাম্বুরা, জলপাই, কাঁচা পেয়ারা ইত্যাদি ফল গুলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস জানুন
তাই এই ফল গুলো খেতে পারেন। তরমুজ, কাঠাল ও আনারস এই গুলোর গ্লাইসেমিক লোড অনেক বেশী হওয়ার কম পরিমাণে খেতে হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন ৭৫ কিলো ক্যালরি পরিমাণে মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
কোন সবজি খেলে ডায়াবেটিস কমে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে জেনেছেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শাক সবজি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। শাকসবজির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো করলা, ফুলকপি, গাজর, টমেটো, পালংশাক, বাধা কপি, ব্রকলি, শসা, লেটুস ইত্যাদি খাবার গুলো খেতে পারেন। আলু, মটর, ভূট্টা ইত্যাদি খাবার গুলোও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা খেতে পারেন। ফুলকপিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ভুৃমিকা রেখে থাকে।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল হয়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে নানা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে রোগী কে সকালে খালি পেটে একবার ও ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করা হয়।এই পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে দেরী হয় বলেই অনেকেই এটি করতে চান না। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে নির্ভুল ভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা সম্ভব হয়ে থাকে। অনেকেই HBA1C নামের পরীক্ষা করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় একবার রক্তের নমুনা নেওয়া হয় এবং দিনের যেকোনো সময়ই পরীক্ষা করা যায়।
কমলার রস খেলে কি ডায়াবেটিস কমে
ডায়াবেটিসরা নানা ধরণের শাক সবজি খাওয়ার পাশাপাশি ফলও খেতে পারেন। তার মধ্যে একটি ফল হলো কমলা। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইভার সমৃদ্ধ, ফলে এটি অনেক উপকারী একটি ফল। এতে উপস্থিত থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই আপনি কাঁচা কমলা বা কোনো মিষ্টি উপাদান যোগ না করে শুধু কমলার জুস খেতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কৌশল সম্পর্কে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা করতে পারেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুর সাথেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url