ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকামফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো এমন জিজ্ঞাসা অনেকেই করে থাকেন। তাই এই সকল কিছু তুলে ধরা হবে আজকের আর্টিকেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক রিলস সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে খুবই জনপ্রিয়। আর অনেকেই এই রিলস গুলোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করছে। তাই জেনে নিন ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো তা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্র : ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো
- ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো
- কিভাবে ফেসবুক প্রফেশনাল মোড অন করা যায়
- কিভাবে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করবো
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার শর্ত
- ফেসবুক রিলস ভিডিও মনিটাইজেশন করার শর্ত
- ফেসবুক রিলস কি
- ফেসবুক পেজ কি
- ফেসবুক রিলস ভিউ কি
- ফেসবুকে কত ভিউয়ে কত টাকা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো
বর্তমান সময়ে সবাই কম বেশী ফেসবুকের দিকে ঝুঁকে থাকে। তারা তাদের অধিকাংশ সময় গুলো কাটিয়ে থাকে ফেসবুকে রিলস দেখে। কিন্তু আপনিও যদি বসে না থেকে এই ধরনের রিলস তৈরি করেন তাহলে আপনারও ভালো পরিমাণ ইনকাম হবে। অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন যারা রিলস তৈরি করে মাসে লক্ষাধিক পর্যন্ত টাকা ইনকাম করে থাকেন। তাই নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে আপনি বানাতে পারেন রিলস ভিডিও ও মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ফেসবুকে রিলস ভিডিও বানিয়ে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি আবশ্যিক ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন সে গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. মনিটাইজেশন
আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার প্রথম কাজটিই হবে পেজ মনিটাইজেশন কিভাবে করবেন সে বিষয়ের উপর নজর দেওয়া। তবে মনিটাইজেশন নেওয়ার জন্যে ফেসবুকে কিছু কন্ডিশন রয়েছে।যদি আপনার পেজটি সেই শর্ত গুলো পূরণ করে থাকে তবেই আপনি মনিটাইজেশন এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। নয়তো বা আপনি ইলিজেবল হয়ে থাকবেন। মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্যে আপনার ফেসবুকে যে কন্টেন্ট গুলো পোস্ট করবেন সে গুলো রুলস মেনে তারপর পোস্ট করবেন। আপনার কন্টেন্ট গুলো পোস্ট করার জন্যে ফেসবুক কত গুলো নিয়ম বেধে দিয়েছে। এর বাইরে পোস্ট করলে আপনি মনিটাইজেশন এর যোগ্য হবেন না।
- ফেসবুক হলো স্ট্যান্ডার্ড কমিউনিটি মানের। এই প্ল্যাটফর্ম আপনি কোনো বিভৎস কিংবা কোনো নিষিদ্ধ কন্টেন্ট গুলো পোস্ট করতে পারবেন না। যেমন মারামারি, রক্ত, যৌনতা ইত্যাদি। তা ছাড়া অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে এমন পোস্ট, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি পোস্ট করবেন না।
- দ্বিতীয় বিষয়টি হলো পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি। এই নিয়ম গুলো আপনার ফেসবুক পেজের জন্যে। আপনি এখানে কোন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করবেন, কখন সে গুলো শেয়ার বা পোস্ট করবেন সে বিষয়ে। অনেক কে দেখবেন শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করে থাকে। আবার কিছু রয়েছে ফুড ব্লগার। তাই আপনার ক্যাটাগরিও ঠিক করবেন।
- সর্বশেষ বিষয়টি হলো কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। এখানে আপনার কন্টেন্ট পলিসি রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ এমন কোনো ভিডিও আপলোড দেওয়া যাবে না যা কোনো দেশ, জাতি, সম্প্রদায়ের জন্যে ক্ষতিকর হয় কিংবা কোনো হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করে।
- মনিটাইজেশন নেওয়ার জন্যে আপনার পেজটি অন্তত ৫ হাজার ফলোয়ারের হতে হবে। নিজের তৈরি করা অন্তত ৫টি ভিডিও সেখানে আপলোড করে রাখতে হবে। আর শেষ ২ মাসে আপনার টাইম ওয়াচ ৬০ হাজার মিনিট হতে হবে।
আপনি মনিটাইজেশনের যোগ্য কি না তা যাচাই করার জন্যে আপনাকে যেতে হবে ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও তে। এখানে মনিটাইজেশন ট্যাবে ক্লিক করলে আপনি সকল কিছু দেখতে পাবেন। আপনি মনিটাইজেশন এর যোগ্য হয়ে গেলে, মনিটাইজেশন এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
২. ইন স্ট্রিম অ্যাড ব্যবহার
ইন স্ট্রিম অ্যাড ব্যবহার করে আপনি আয় করতে পারেন। আমরা যখন ফেসবুকে কোনো ভিডিও দেখি তখন মাঝ ভিডিও তে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাকে। এই গুলোই হলো ইন স্ট্রিম অ্যাড। আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার রিলস ভিডিও এর মাঝে যদি এই ইন স্ট্রিম অ্যাডস দিয়ে থাকেন তাহলে তা আপনার দর্শকদের কাছে সুন্দর ভাবে পৌঁছাবে। আপনার রিলস যদি ভালো মানের হয়ে থাকে তাহলে দর্শক বিজ্ঞাপনটি পুরো দেখে আবার ভিডিও দেখবে। এটি ফিডের বিজ্ঞাপনের চেয়ে অনেক কার্যকর। কারণ তারা ফিডের বিজ্ঞাপন এড়িয়ে চলে কিন্তু এখানে তা হয় না। তাই আপনার রিলস ভিডিও এর মাঝে আপনি ইন স্ট্রিম অ্যাড ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
ইন স্ট্রিম অ্যাড চালু করার জন্যে আপনার পেজে কম পক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। ফেসবুকের যে শর্ত গুলো রয়েছে সে গুলো পূরণ করতে হবে। আপনার ভিডিও এর দৈর্ঘ্য এক মিনিট থেকে বেশী হতে হবে। আর এই শর্ত গুলো পূরণ করতে পারলে আপনি এটি চালু করতে পারবেন।
৩. পেইড সাবক্রিপশন যোগ করা
পেইড সাবক্রিপশন যোগ করার মাধ্যমে আপনি আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনার ফলোয়াররা টাকা দেওয়ার মাধ্যমে পেজে সাবক্রিপশন নিবে এবং এক্সক্লুসিভ কনন্টের সুবিধা ভোগ করবে। আবার ফেসবুকে স্টার ফিচার দিয়ে ফলোয়াররা প্যাক কিনতে পারেন। যা টাকা আয় করাতে সাহায্য করে থাকে। এই ফিচারটি আপনি নিতে পারবেন ইনভাইটেশন ফিচারের ভিত্তি তে। ফ্যান সাবক্রিপশন আনলক করার জন্যে ১০ হাজার ফলোয়ার বা ২৫০ জনের বেশী রিটার্ন ভিউয়ার থাকতে হবে। সাথে ৫০ হাজার এনগেজমেন্ট ও ১ লাখ ৮০ হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
৪. অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে কোলাবরেশন
নিজ পেজের রিচ বাড়ানের জন্যে যাদের পেজে অনেক সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে তাদের সাথে যুক্ত থাকুন। নিজের কনটেন্ট গুলো কে আরো বৈচিত্র্যময় করে তুলুন। যাদের ভালো সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে তাদের সাথে অর্থের বিনিময়ে কাজ করতে পারেন। এটি আপনার নিজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। এই কাজটি করার জন্যে আপনাকে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। আপনি অনুমতি ছাড়া তাদের ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন না। একবার যদি তাদের এক্সেস নিতে পারেন এবং তাদের সাথে কোলাবরেট হতে পারেন তাহলে তা আপনার পেজের রিচ বাড়াতে সাহায্য করবে।
৫. ফলোয়ারদের থেকে অর্থ উপার্জন করা
ফেসবুক থেকে একটি বিষয় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যেন ভালো মানের কন্টেন্ট শেয়ার করে এবং তারা একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজটা করে। যেমন তারা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউ তৈরি করে মাসে ৪ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত আর্থিক পুরুস্কার পেতে পারেন।
আরো পড়ুন : গুগল ক্রোম এক্সটেনশন জানুন
এই চ্যালেঞ্জ ফিচারটি শুধু মাত্র ইনভাইটেশন এর মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে ফেসবুক তাদের লক্ষ করছে যাদের ফলোয়ার সংখ্যা মিলিয়ন বা তার অধিক সংখ্যক রয়েছে। এই ইনভাইটেশন যদি আপনি পান তবে আপনাকে চ্যালেঞ্জ ৩০ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। আর যদি না পারেন তবে ফিচারটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
কিভাবে ফেসবুক প্রফেশনাল মোড অন করা যায়
ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো তা জেনেছেন। আপনি যদি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রফেশনাল মোড অন করতে চান তবে আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করুন। প্রোফাইলে হেডার এর নিচের দিলে থ্রি ডট মেনু তে ক্লিক করুন। তারপর একটু নিচের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন Turn on professional Mode। এই লেখাটির উপর ক্লিক করে নিন। এরপর আপনার সামনে আরো একটি নতুন পেজ দেখা দিবে। এখানে নিচের দিলে নীল বোটামে Turn on লেখা রয়েছে। এই বাটনটি তে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার প্রোফাইলটি প্রফেশনাল মোডে চলে যাবে। তারপর ব্যাক করে চলে আসুন। এরপর আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করলে দেখবেন তা আগের মতো নেই। এটি প্রফেশনাল মোডে পরিণত হবে।
কিভাবে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করবো
অনেকে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন। তবে চিন্তা করার আর ব্যাপার নেই। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার জন্যে কিছু শর্ত রয়েছে যা ফেসবুক আপনাকে দিয়ে থাকে। যদি এই শর্ত গুলো ফিলাপ হয়ে থাকে তাহলে আপনি যেভাবে ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে পারেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার জন্যে প্রথমে যে কোন একটি ব্রাউজারে ( ক্রোম) চলে যান। সেখানে গিয়ে creator studio বা Meta Business suite লিখে সার্চ করলে, ফেসবুকের অফিসিয়াল সাইট দেখতে পাবেন। সার্চ রেজাল্টে পাওয়া প্রথমটাতেই ক্লিক করে প্রবেশ করুন ও নিজের ফেসবুক পেজ লগ ইন করে নিন।
- Creator Studio তে যাওয়ার পর মনিটাইজেশন অপশনে ক্লিক করে নিন। তারপরে ইন স্ট্রিম অ্যাড চালু করে নিন। পরে ইন স্ট্রিম ডিমান্ড নামক একটি অপশন পাবেন যেখানে সেট আপ বাটনে ক্লিক করে নিন।
- সেট আপ বাটনে ক্লিক করার পর কনটেন্ট মনিটাইজেশন টার্মস এন্ড কন্ডিশন এর বিষয়ে পড়ে নিবেন। নিচের দিকে Agree অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করে নিন। তারপর একটি নতুন পেজ শো হবে এবং এখানে payout একাউন্ট তৈরি করে নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
- আপনার সামনে আপনার পেজটি শো করবে। এটি সিলেকশন করার পর ক্রিয়েট একাউন্ট নম্বর আসবে। তারপর আপনার দেশ ও বিজনেস টাইপ সিলেকশন করে নিবেন। পার্সোনাল পেজ হলে ইনডিভিজুয়াল সিলেকশন করে নিবেন।
- এরপর আপনার কাছে আরো একটি ফরম আসবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভালো ভাবে পূরণ করবেন। এউ ফর্মে ভুল কোনো তথ্য দিলে আপনার উপার্জন অন্য কারো কাছে চলে যাবে। এখানে আপনার ফার্স্ট, লাস্ট ও মিডল নেম এবং এন আই ডি কার্ডের সকল কিছু দিয়ে পূরণ করে নিবেন। বিজনেস এড্রেসে আপনার এড্রেস দিবেন। ফরম পূরণ করার পর নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।
- উপরের ফরমটি ভালো ভাবে পূরণ করার পর আপানকে আরো একটি ফরম দেওয়া হবে। এই ফরমটি তে আপনার ব্যাংক একাউন্টের তথ্য গুলো দিতে হবে। কান্ট্রিতে নিজ দেশের নাম দিবেন। একাউন্ট হোল্ডারে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম দিবেন। যে নাম দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন তা ব্যবহার করবেন। তারপর আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর প্রদান করবেন। সুইফট কোডে সুইফট কোড বসাবেন। এটি আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। ব্যাংক একাউন্টটি লিংক করে দিবেন।
প্রদত্ত ফাইলটি ডাউনলোড করে আপলোড দিয়ে দিবেন। ফাইলটির পিডিএফ ডাউনলোড করে আবার এডিট অপশনে গিয়ে পুনরায় সকল কিছু দিয়ে নিবেন।
আরো পড়ুন : ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় জানুন
তারপর নেক্সট অপশনে ক্লিক করে পেজের এডমিন সিলেকশন করে, ডান পাশে ক্লিক করলে আপনার পেজটি মনিটাইজেশন এর জন্যে আবেদন হয়ে যাবে। মনিটাইজেশন আবেদন করার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার শর্ত
ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো তা সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি যদি আপনার ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু শর্ত অবলম্বন করতে হবে। এই শর্ত গুলো হলো :
- আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার সংখ্যা হতে হবে পাঁচ হাজার।
- গত দুই মাসে আপনার ওয়াচ টাইম হতে হবে ৬০ হাজার মিনিট।
- পেজে কমপক্ষে পাঁচটি একটিভ ভিডিও থাকতে হবে।
- পেজে কোনো ধরণের পলিসি ইস্যু থাকা যাবে না।
ফেসবুক রিলস ভিডিও মনিটাইজেশন করার শর্ত
আপনি যদি আপনার ফেসবুকে রিলস ভিডিও মনিটাইেশন করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যদিও ফেসবুক এই ব্যাপারে তেমন কোনো উল্লেখ যোগ্য শর্ত দেয়নি তারপরে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হয়। আপনার একাউন্টটি ৩০ দিনের বেশী পুরোনো হতে হবে। গত ৩০ দিনে কমপক্ষে ৫ টি রিলস তৈরি করতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই ১০০k রিলস প্লে করতে হবে। নিজের রিলস গুলো যত বেশী সম্ভব দর্শকদের নিকট পৌঁছানো। এই ভাবেই আপনি রিলসে মনিটাইজেশন আবেদন করার জন্যে যোগ্য হয়ে উঠবেন।
ফেসবুক রিলস কি
ফেসবুক রিলস মানে হলো ছোট আকারের ভিডিও। যে গুলো আমরা সাধারণত ফেসবুকে দেখে থাকি। এই ধরণের রিলসে সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হয়ে থাকে। এই সংক্ষিপ্ত আকারের ভিডিও গুলো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এখন চলছে। বর্তমানে এই ভিডিও গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবার কাছে। ফেসবুকে ছোট আকারের যে ভিডিও গুলো দেওয়া হয় তা ফেসবুক রিলস ভিডিও।
ফেসবুক পেজ কি
ফেসবুক কতৃক স্বীকৃত একটি যোগান্তকারী ফিচার হলো ফেসবুক পেজ। এটি আপনি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারেন আপনার কাজ করার জন্যে। বর্তমান সময়ে এখান থেকে মনিটাইজেশন নিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে এটি বিজনেস পেজ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর এখানে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। যদি সেলিব্রিটি হয়ে থাকেন তবে রিলস ভিডিও বা ভিডিও আপলোড দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ফেসবুক রিলস ভিউ কি
ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো তা জেনেছেন। ফেসবুক ভিউ বলতে বোঝানো হয়ে থাকে আপনার ভিডিও বা পোস্ট গুলো কত জন মানুষ দেখেছে।আপনার ভিডিও যদি কেউ ৩ সেকেন্ড বা তার বেশী সময় ধরে দেখে তবে সেটি ভিউ হিসেবে গণনা করা হয়। আবার আপনি যদি ছবি বা অন্য কিছু পোস্ট করে থাকেন তবে সেটি বোঝায় এটি কত জন মানুষের নিউজ ফিডে দেখেছে। আর ফেসবুক স্টোরি তে তখনই ভিউ গণনা করা হয় যখন এটি কেউ আংশিক বা পুরোপুরি দেখে। রিলস ভিউ হলে তা কত জন মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং তারা তা দেখেছে।
ফেসবুকে কত ভিউয়ে কত টাকা
আপনার আয়ের হার বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। এটি CPM পদ্ধতিতেও হতে পারে। প্রতি ১০০০ ভিউয়ের উপর নির্ভর করে এটি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : ফেসবুক পেজ বুস্ট করার নিয়ম জানুন
এই রেট সাধারণত ২ ডলার থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার CPC পদ্ধতিতে আয়ের হার ০.১ ডলার থেকে ০.৫ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ ক্লিকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় হতে পারে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ফেসবুক রিলস থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবো তা সম্পর্কে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পেরেছেন। কোনো মন্তব্য থাকলে রাখতে পারেন। পাশাপাশি এটি নিজের বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url