উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রেশার লো হলে করণীয় জানুনউচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই ভালো করে জানেন না। তাই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ফলে ঘরোয়া উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
বিভিন্ন কারনে রক্ত চাপ বেড়ে যায়। এর ফলে শারীরিক অবস্থার অনেক ক্ষতি হয় এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। তাই এটি ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।
পেজ সূচিপত্র : উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
- উচ্চ রক্ত চাপের প্রতিকার
- উচ্চ রক্ত চাপের লক্ষণ
- উচ্চ রক্ত চাপে সৃষ্ট রোগ সমূহ
- উচ্চ রক্ত চাপের প্রধান কারণ
- উচ্চ রক্তচাপে কোন হরমোন দায়ী
- উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ
- উচ্চ রক্ত চাপ কি
- রক্ত চাপ কত প্রকার
- লেখকের শেষ মন্তব্য
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে উচ্চ রক্ত চাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার কে। আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা এই সমস্যায় ভূগে থাকে। শুধু বয়স্করাই নয় বরং সকল শ্রেণির মানুষ গুলো এই উচ্চ রক্ত চাপের কবলে পরছে। উচ্চ রক্ত চাপের ফলে হতে পারে হার্ট ফেল, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো অনেক সমস্যা। এর ফলে রোগীর মৃত্যু হওয়ারও আশংকা থাকে।যদি হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশী থাকে তাহলে সেটি কে রক্ত চাপ বা ব্লাড প্রেশার বলে। এই উচ্চ রক্ত চাপ নীরবেই আপনার অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই চলুন এটি প্রতিরোধে ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
- উচ্চ রক্ত কমাতে প্রতিদিন খাবার তালিকায় প্রচুর শাক সবজি রাখেন। যেমন পালংশাক, ফুলকপি, শসা, লাউ, মটরশুটি, কলমি শাক, বাধা কপি, টমেটো, কুমড়া, বেগুন ইত্যাদি। শাক সবজি খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে রক্ত চাপ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
- পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্যে করে। তাই কলা, ডাবের, পানি, টমেটো ইত্যাদি খেতে পারেন। কেননা এই গুলো পটাশিয়াম রয়েছে।
- উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে প্রতিদিন এক কাপ করে দুধ খেতে পারেন।
- তৈলাক্ত মাছ গুলো কে পরিহার করে অন্য ছোট মাছ গুলো গ্রহণ করুন।
- তা ছাড়া ফলমূল, যেমন আমলকি, নাশপাতি, পেপে, বেদানা, পেয়ারা এই গুলো খেতে পারেন। এই গুলো থেকে যে কোন এক ধরণের ফল আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। এটি আপনার উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। খাদ্য তালিকায় গোলাপী লবণ ব্যবহার করতে হবে।
- বেশী বেশী পানি খেলেও তা রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। আর তাই যারা উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভূগছেন, তাদের উচিত প্রতিদিন ৮ গ্লাস করে পানি পান করা।
- ব্যায়াম করার ফলেও আপনার রক্ত চাপ কিছুটা কমতে পারে। তাই সাধারণ ব্যায়াম গুলো যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা, লাফানো ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো করতে পারেন।
- মানসিক চাপ ও রাগ এড়িয়ে চলবেন। তাহলে আপনার রক্ত চাপ কম থাকবে। ধ্যান ও যোগ ব্যায়াম ও রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- চর্বি যুক্ত খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত। আপনি যদি রক্ত চাপ কমাতে চান তাহলে আপনার ডায়েট ও স্যাচুরেটেড ফুড বাদ দেওয়া উচিত। ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যে বেশ কার্যকরী।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ধুমপান করা উচ্চ রক্ত চাপের প্রধান কারন। তাই এই গুলো করা যদি বাদ দেন তাহলে তা রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
- সঠিক ভাবে যদি ঘুমাতে পারেন তাহলে তা রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে। একজন প্রাপ্ত বয়স্কের নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা করে ঘুমানো উচিত। তাহলে উচ্চ রক্ত চাপ কমবে।
- চর্বি যুক্ত মাংস, টমেটো, চিনি যুক্ত খাবার, প্যাকেট বা প্রক্রিয়া জাত খাবার, জাংক ফুড, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন খাওয়া থেকে নিজে কে বিরত রাখুন।
উচ্চ রক্ত চাপের প্রতিকার
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন। উচ্চ রক্ত চাপ হলো নীরব ঘাতক রোগ। এটি খুব নীরবেই আমাদের অনেক বড় বড় ক্ষতি করে দেয়।
আরো পড়ুন : ব্লাড ক্যান্সার হলে কি করতে হয়
তাই উচ্চ রক্ত চাপ প্রতিকারে আমাদের করণীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন জেনে নিই, কিভাবে আপনি উচ্চ রক্ত চাপের প্রতিকার করতে পারেন।
১. রসুন
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে রসুন। অল্প সময়ের মধ্যেই উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে রসুনের ভুমিকা রয়েছে। এই কাজে রসুন বেশ কার্যকরি ভুমিকা পালন করে থাকে। যদি ব্লাড প্রেসার অনেক বেশী পরিমাণে বেড়ে যায়, তবে সে কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এই রসুন। আপনার যদি রক্ত চাপ অনেক বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে আপনি রসুন থেকে এক বা দুই টুকরা সরাসরি খেয়ে নিতে পারেন। এই গুলো কুচি কুচি করে মধুর সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।
২. ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি
ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে ভুমিকা পালন করে থাকে। এই গুলো উচ্চ রক্ত চাপে সৃষ্ট জটিলতা প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। উচ্চ চাপের ফলে হওয়া স্ট্রোক প্রতিরোধ করতেও এটি দারুন ভুমিকা পালন করে থাকে। গোটা শস্য, ডিম, দুগ্ধ জাত খাবার, মাংস, লেবু, গাঢ় শাক ও চর্বি যুক্ত মাছ এই গুলো হলো ভিটামিন যুক্ত খাবার। উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে আপনি এই গুলো নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন।
৩. আদা
আদার চা উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি হৃদপিন্ডের সংকোচনের হার ও শক্তি কমাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার হিসাবেও কাজ করে থাকে। ফলে রক্ত চাপ কমিয়ে থাকে। তাই এক কাপ পানিতে কয়েক টুকরা আদা নিয়ে পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করে খেতে নিয়ে তা ঠান্ডা করে খেতে পারেন।
৪. আপেল সিডার ভিনেগার
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি শরীরে রেনিন নামক এক এনজাইমের কার্য কলাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে যা উচ্চ রক্ত চাপ তৈরি করে থাকে। এক গ্লাস গরম পানিতে তিন চা চামচ আপেল ভিনেগার ভালো ভাবে মিশিয়ে পান করে নিন।
৫. গ্রিন টি
পরিমাণ মতো গ্রিন টি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে। এতে থাকা পলিফেনল ধমনী কে শিথিল করতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্ত চাপ কমতে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত দুই বা একবার গ্রিন টি খেয়ে থাকেন তাহলে তা কার্যকর ভুমিকা পালন করবে। তাই বলে আবার অনেক বেশী পরিমাণে গ্রিন টি পান করবেন না, কারন এতে ক্যাফেইন থাকে। তাই হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
৬. লেবুর রস
যদি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করেন এবং তার পাশাপাশি লেবুর রস পান করে থাকেন তাহলে তা আপনার উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে যদি পান করেন তাহলে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার রক্ত চাপ কমে আসবে।
৭. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড কার্ডিও প্রোটেকটিভ প্রভাব প্রদর্শন করে থাকে।
আরো পড়ুন : সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
এতে থাকে ডাকোসায়াহেক্সানিক এসিড বা ডি এইচ এ যা রক্ত চাপ এবং হৃদস্পন্দন কমাতে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে থাকে। সামুদ্রিক মাছ যেমন : স্যামন, টুনা ইত্যাদি, বীজ, আখরোট, চিয়া বীজ, বাদাম ইত্যাদি তে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এই উপাদান গুলো উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে।
উচ্চ রক্ত চাপের লক্ষণ
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। উচ্চ রক্ত চাপে অনেক ধরণের লক্ষণ পায়। এর অপর নাম হলো হাইপারটেনশন। হৃদপিন্ডের ধমনীতে যদি রক্ত প্রবাহে চাপ বেশী পরিমাণে থাকে তবে তা উচ্চ রক্ত চাপের কারন হয়ে দাঁড়ায়। রক্ত চাপ বেশী থাকলে বেশ কয়েক ধরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই গুলো নিম্নে দেওয়া হলো।
- চোখে ঝাপসা দেখা।
- অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া।
- অস্থিরতা।
- মাথা ও ঘার ব্যাথা করা।
- বুক ব্যাথা করা।
- মাথা ঘোরা।
- ক্লান্তি এবং দূর্বলতা।
আপনার যদি এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে আপনি ব্লাড প্রেসার চেক করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনি আপনার রক্ত চাপ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। একজন সুস্থ মানুষের রক্ত চাপ হয়ে ৮০ মিমি মার্কারি থেকে ১২০ মিমি মার্কারি পর্যন্ত৷ তবে যদি আপনার রক্ত চাপ ৯০ মিমি মার্কারি এর বেশী ও ১৪০ মিমি মার্কারি হয়ে থাকে তাহলে সেটি কে উচ্চ রক্ত চাপ বলে ধরে নেওয়া হয়।
উচ্চ রক্ত চাপে সৃষ্ট রোগ সমূহ
উচ্চ রক্ত চাপের ফলে রক্ত নালীতে প্রচুর চাপ দেওয়া হয় রক্ত দ্বারা। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন মারাত্নক সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্ত চাপ কে নীরব ঘাতকও বলা হয়ে থাকে। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, স্ট্রোক এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই উচ্চ রক্ত চাপ। এটি হৃদরোগে জটিলতা তৈরি করে থাকে। উচ্চ রক্ত চাপ দুই ধরণের হয়ে থাকে। যেমন হলো প্রাথমিক উচ্চ রক্ত চাপ ও মাধ্যমিক উচ্চ রক্ত চাপ। প্রাথমিক উচ্চ রক্ত চাপ সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। আর মাধ্যমিক উচ্চ রক্ত চাপের ফলে কিডনি রোগ, হরমোন জনিত রোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এর ফলে সৃষ্টি জটিলতা হলো :
- হার্ট অ্যাটাক
- স্ট্রোক
- কিডনির ক্ষতি
- হার্ট ফেইলিউর
- দৃষ্টি শক্তি ক্ষতি
- জ্ঞানীয় পতন
- Aneurysms
উচ্চ রক্ত চাপের প্রধান কারণ
উচ্চ রক্ত চাপ বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর জন্যে বেশ কিছু কারণ কে দায়ী করা যেতে পারে। উক্ত কারন গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
- খাবারে বেশী পরিমাণে লবণ খাওয়া
- অতিরিক্ত মদ্যপান করা
- শরীরে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
- ধুমপান করা
- রাত্রে পর্যায়ে না ঘুমানো
- পর্যাপ্ত শাক সবজি ও ফল মূল খাওয়া
- অতিরিক্ত চা, কফি বা ক্যাফিন যুক্ত পানীয় সেবন করা
- পরিবারের ইতিহাসে এমন কিছু থাকলে
- যথেষ্ট শারিরীক পরিশ্রম না করলে
- বয়স যদি ষাট না পয়ষট্টির বেশী থাকে
উচ্চ রক্তচাপে কোন হরমোন দায়ী
বেশীর ভাগ উচ্চ রক্ত চাপের ক্ষেত্রে কোনো কারণ উল্লেখ না করলেও, কিছু ক্ষেত্রে এর পিছনে সুনির্দিষ্ট কারন বলা যেতে পারে। এর অন্যতম একটি কারন হলো হরমোন ঘটিত সমস্যা। অনেক উচ্চ চাপের কারণ হিসেবে অ্যালডোস্টেরন হরমোন কে দায়ী করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা জানুন
এটি নিঃসৃত হয় অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে। এই হরমোন নিঃসরণ যদি বেশী মাত্রায় বৃদ্ধি পায় তবে দেহে সোডিয়াম তথা লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে বেড়ে যায় রক্ত চাপ।
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ঔষধ প্রচলিত রয়েছে। যেমন কিছু বিটা ব্লকার হলো : metoprolol, atenolol, labetalol, carvedilol ইত্যাদি। আবার এসিই নিরোধক হলো : lisinopril, quinapril, fosinopril, captopril, enalapril, ramipril ইত্যাদি।এই ঔষধ গুলো আপনি দেখতে পারেন। তবে আপনি অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। আপনার সমস্যা ডাক্তারের কাছে বললে, তিনি আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে উপযুক্ত ঔষধ নিতে পরামর্শ দিবেন।
উচ্চ রক্ত চাপ কি
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। রক্ত প্রবাহ হয় ধমনী ও শিরা দিয়ে। রক্ত চাপ বা ব্লাড প্রেশার হলো মানুষের শরীরের ধমনী প্রবাহ। যখন হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত হয়, তখন রক্ত ধমীর দেয়ালে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে, তখনই এটি আমাদের কাছে রক্ত চাপ নামে পরিচিত। একজন স্বাভাবিক মানুষের ১২০/৮০ মিমি পারদ চাপ রক্ত চাপ যদি থাকে তাহলে তা স্বাভাবিক রক্ত চাপ। আর যদি ১৪০/৯০ এর বেশী হয়ে থাকে তাহলে তাকে উচ্চ রক্ত চাপ বলে।
রক্ত চাপ কত প্রকার
রক্ত চাপ বাংলাদেশে খুবই কমন একটি সমস্যা। দুই ধরণের রক্ত চাপ দেখা যায়। প্রাইমারি হাইপারটেনশন বা প্রাথমিক রক্ত চাপ। আর সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন বা মাধ্যমিক রক্ত চাপ। প্রাইমারি হাইপারটেনশন বয়স্ক বয়স্ক মানুষের মধ্যে হয়ে থাকে। আর এটি অনেক অনেক বছর ধরে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করতে থাকে। অ্যাথেরোস্ক্লেরেসিস নামক ধমনীতে প্লাক জমা হলে এই সমস্যা হয়। সেকেন্ডারি হাইপারটেনশনে প্রাথমিক রক্ত চাপের থেকে বেশী রক্ত চাপ থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ভাবে স্পষ্ট একটা ধারণা পেয়েছেন। উচ্চ রক্ত চাপে কোনো ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিবেন। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা জানাতে পারেন। পাশাপাশি এটি নিজের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url